জনকল্যাণে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য প্রকল্পের সুযোগগুলি প্রান্তিক এলাকার মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে: তপশিলি জাতি কল্যাণমন্ত্রী
জনকল্যাণে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য প্রকল্পের সুযোগগুলি প্রান্তিক এলাকার মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
রাজ্যের প্রকৃত সুবিধাভোগীরা যাতে প্রকল্পের সুযোগ থেকে বঞ্চিত না হয় সেই লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। আজ কুমারঘাট মোটরস্ট্যান্ড সংলগ্ন কমিউনিটি হলে কুমারঘাট পুরপরিষদের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা-শহর প্রকল্পের চতুর্থ ডিপিআর-র গৃহ প্রাপকদের মধ্যে ওয়ার্ক অর্ডার প্রদান অনুষ্ঠানে একথা বলেন তপশিলি জাতি কল্যাণমন্ত্রী ভগবান চন্দ্র দাস।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে তপশিলি জাতি কল্যাণমন্ত্রী বলেন, সরকারের কাছে শহর ও নগর এলাকার গরিব মানুষের প্রত্যাশা থাকে মাথা গোঁজার জন্য একটা পাকা গৃহের। গরিব মানুষের এই প্রত্যাশা পূরণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার পরিকল্পনা নিয়েছে যাদের পাকা গৃহ নেই তাদেরকে ২০২২ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার আওতায় নিয়ে আসা।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এই পরিকল্পনার অঙ্গ হিসেবেই আজ কুমারঘাট পুর এলাকার ২৩৩ জনকে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা-শহর প্রকল্পের চতুর্থ ডিপিআর-এ পাকা গৃহের মঞ্জুরিপত্র দেওয়া হচ্ছে। সুবিধাভোগীদের সরকারি নিয়ম নীতির মধ্যে থেকেই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এই গৃহ নির্মাণের কাজ শেষ করতে হবে।
তিনি বলেন, অতীতে এই রাজ্যে গরিবদের মধ্যে আবাসন প্রকল্পে গৃহ দেওয়া নিয়ে সংকীর্ণ রাজনীতি হয়েছে। বর্তমান সরকার সবকা সাথ সবকা বিকাশের ভাবনা নিয়ে প্রকৃত সুবিধাভোগীদেরকে গৃহ বরাদ্দ করছে।
উল্লেখ্য, এই যোজনায় প্রতিটি গৃহ নির্মাণে ব্যয় হবে ২ লক্ষ ৭১ হাজার ৩৯৮ টাকা। এরমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের অংশ ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, রাজ্য সরকারের অংশ ১৬ হাজার ৬৬৬ টাকা ও সুবিধাভোগীদের দিতে হবে ১ লক্ষ ৪ হাজার ৭৩২ টাকা।