ফের নজির বিপ্লব দেবের, দুঃস্থ ছাত্রীর কাতর আবেদন ফেসবুকে, সাহায্য পৌঁছে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
এমন মুখ্যমন্ত্রী সারা দেশে বিরল। সোশ্যাল মিডিয়ার প্রশ্নে কেই বা আছেন এমন সহানুভূতিশীল! বর্ষার পর সঙ্গীতা শীল শর্মা। ছোট্ট ঘরটায় যেখানে অভাবই ছিল রোজনামচা সেখানে হঠাত্ করেই যেন হাজার ওয়াটের আশার আলো জ্বলে উঠল। যা জ্বাললেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব।
কাঁকড়াবন ব্লকের মুড়াপাড়ার বাসিন্দা, নবোদয় বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী সঙ্গীতা মুখ্যমন্ত্রীর ফেসবুক পেজে জানিয়েছিল তাদের পরিবারের অসহায় অবস্থার কথা। শনিবার এই বার্তা পাওয়ার পর রবিবারই প্রতিনিধি মারফত সাহায্য পৌঁছে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
সঙ্গীতা জানিয়েছিল, তার বাবা দীর্ঘদিন ধরে পক্ষাঘাতে রয়েছেন। কাজ করতে পারেন না। পরিবারে উপার্জনশীল বলতে একমাত্র মা। কিন্তু তিনিও দুর্ঘটনায় জখম হয়েছেন। পায়ে অস্ত্রোপচার হয়েছে তাঁর। তিনিও কর্মক্ষমতা হারিয়েছেন। এমন অসহায়তার কথা জানার পর বিলম্ব করলেন না মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।
রবিবার কাঁকড়াবন ব্লকের মুড়াপাড়ায় সঙ্গীতার বাড়িতে পৌঁছে যান তাঁর ওএসডি সঞ্জয় মিশ্র, খাদি বোর্ডের চেয়ারম্যান রাজীব ভট্টাচার্য এবং ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান বাহারুল ইসলাম মজুমদার। নগদ পাঁচ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয় পরিবারের হাতে। সেইসঙ্গে প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, সঙ্গীতার পড়াশুনার দায়িত্ব বহন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। তা ছাড়া স্থানীয় পঞ্চায়েতকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এই পরিবারের জন্য ঘর নির্মাণের ব্যবস্থা করতে। সঙ্গীতার বাবা-মা দুজনকেই সামাজিক পেনশন দিচ্ছে রাজ্য সরকার।
আবেদনের চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর সাহায্য পেয়ে আপ্লুত সঙ্গীতা। সে বলে, ভাবতেও পারিনি এই ভাবে সাহায্য করবে। নিরাশায় যখন ডুবে যাচ্ছিলাম তখন হঠাত্ই জীবনের মানে বদলে দিলেন মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী। আজীবন তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকব।