মৎস্য দপ্তর প্রথমবারের মতো রাজ্যের জলাশয়গুলির জন্য লিজ পলিসি ২০২১ গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজ সচিবালয়ের কনফারেন্স হলে সাংবাদিক সম্মেলনে মংসা দপ্তরের মন্ত্রী মেবার কুমার জমাতিয়া এই সংবাদ জানান। তিনি জানান, ত্রিপুরায় বর্তমানে ১৫০২টি জলাশয় রয়েছে।
এই জলাশয়গুলি এতদিন মৎস্য দপ্তর সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর যেমন পঞ্চায়েত, শিক্ষা, আরক্ষা প্রভৃতি দপ্তরের নিয়ন্ত্রণাধীন ছিল। বর্তমান রাজ্য সরকার এই জলাশয়গুলি সুষ্ঠুভাবে রক্ষণাবেক্ষনের উদ্দেশ্যে এই প্রথমবারের মত ত্রিপুরা ওয়াটার বডিজ লিজ পলিসি ২০২১ গ্রহণ করেছে।
সাংবাদিক সম্মেলনে মৎস্য মন্ত্রী মেবার কুমার জমাতিয়া আরও জানান, এই বছর মংসা ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য কাজের উৎকর্ষতা স্বরূপ দেশের ১১টি পার্বত্য রাজ্যের মধ্যে ত্রিপুরা প্রথম স্থান অর্জন করেছে।
এইক্ষেত্রে গত ২১ নভেম্বর বিশ্ব মৎসা দিবসে ত্রিপুরাকে কেন্দ্রীয় মৎস্য মন্ত্রক থেকে ১০ লক্ষ টাকা সম্মানস্বরূপ পুরস্কার প্রদান করা হয়। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার প্রতিষ্ঠার পর বন দপ্তরের জাইকা প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় চ্যাক ডেম তৈরি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বন দপ্তর এবং মৎস্য দপ্তরের সমন্বয়ে এই চ্যাক ডেমগুলিতে মৎস্য চাষের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। তিনি আরোও জানান, রাজ্যে বছরে মাছের চাহিদা জন প্রতি ২৫ কে.জি।
এই ক্ষেত্রে ত্রিপুরা দেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। প্রথম স্থনে রয়েছে আন্দামান ও নিকোবর দ্বিপপুঞ্জ। তিনি জানান, রাজ্যে মাছের চাহিদা অনুসারে প্রায় ২৩ শতাংশ মাছ বাইরে থেকে আমদানি করতে হয়। এই ঘাটতি মেটানোর জন্য মৎস্য দপ্তর ক্যাজ কালচার, বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ, মাছের রেনু উৎপাদনের মত বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
আগামী দুই তিন বছরের মধ্যে রাজ্য মৎস্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে বলে মংস্য মন্ত্রী আশা ব্যক্ত করেন। সাংবাদিক সম্মেলনে মৎস্য দপ্তরের সচিব দীপা ডি নায়ার মৎস্য দপ্তরের বিভিন্ন উন্নয়নমূক পরিকল্পনা সম্পর্কে আলোকপাত করেন। তিনি বলেন, মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সারা রাজ্যে ৫৮৯ জন মৎস্য মিত্র নিয়োগ করা হবে। কোভিড অতিমারী পরিস্থিতিতে রাজ্যের