রাজ্যের হস্ততাঁত ও হস্তকার শিল্প সামগ্রীর প্রদর্শনী ও বাজারজাত করার জন্য গড়ে তোলা হবে ইউনিটি মল। ইউনিটি মলটি নির্মাণ করার জন্য ইতিমধ্যেই আমতলি-খয়েরপুর বাইপাস সংলগ্ন জুটমিল কমপ্লেক্সে ৩৬০ একর জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। মলটিতে থাকবে ৮০টি শোরুম। ভারত সরকারের অর্থ মন্ত্রকের সহায়তায় মলটি নির্মাণে প্রায় ১৩০ কোটি টাকা ব্যয় হবে। আজ সচিবালয়ের প্রেস কনফারেন্স হলে এক সাংবাদিক সম্মেলনে একথা জানান শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী সান্ত্বনা চাকমা। শিল্পমন্ত্রী জানান, ইউনিটি মনে এক জেলা এক পণ্যসমূহের উৎপাদিত পণ্যগুলিরও প্রদর্শন ও বাজারজাত করার ব্যবস্থা থাকবে। রাজ্যের নিজস্ব হস্ততাঁত ও হস্তকারুশিল্প ও স্থানীয় পণাগুলির বিপণনে সহায়তা করবে। বেকার যুবক-যুবতী, কারিগর, মৃৎশিল্পী এবং তাঁতিরা তাদের তৈরি পণ্যগুলির বিপণনের মাধ্যমে আর্থিকভাবে লাভবান হবেন। ইউনিটি মলটি রাজ্যে পর্যটকদের আকৃষ্ট করার পাশাপাশি অর্থনীতিকে সাবলীল করতেও বিশেষ ভূমিকা নেবে।
সাংবাদিক সম্মেলনে শিল্পমন্ত্রী জানান, ত্রিপুরার শিল্পনগরীগুলির পরিকাঠামো উন্নয়নে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক ১,২০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্পের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। এরজন্য ডিপিআর তৈরি সহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কাজগুলি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাস্তের সহায়তাতেই ন্যাশনাল ব্যাম্বু মিশন উত্তর-পূর্ব ভারতের বাশের ভ্যালু চেইনের উন্নয়নের উদ্যোগ নিয়েছে। রাজ্য সরকার সে অনুযায়ী ঊনকোটি জেলার সোনামুখী গ্রামে একটি ইন্টিগ্রেটেড ব্যাম্বু পার্ক গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাশাপাশি ৮টি প্রাথমিক প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রও গড়ে তোলা হবে। তিনি জানান, সম্প্রতি ন্যাশনাল ব্যাম্বু মিশন এবং এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের একটি প্রতিনিধিদল ত্রিপুরা সফরে এসে বোধজংনগর এবং কুমারঘাটের শিল্পনগরীতে বর্তমান ইউনিটগুলি পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েছে।