রাজ্যের খাদ্য ও জন সংভরণ এবং কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের যৌথ উদ্যোগে রাজ্যের কৃষকবন্ধুদের বৃহত্তর স্বার্থের কথা মাথায় রেখে আগামী ১১ই জুলাই, ২০২৩ থেকে প্রতি কুইন্টাল ২০৪০ টাকা ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে কৃষকদের কাছ থেকে চলতি রবি মরসুমের ৩৫,০০০ মেট্রিক টন সরাসরি ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। একজন কৃষক সর্বোচ্চ ৫০ কুইন্টাল ধান বিক্রয় করতে পারবেন।
আগামী ১১ই জুলাই থেকে সারা রাজ্যে পর্যায়ক্রমে ৪০টি ধানক্রয় কেন্দ্রে ধান বিক্রয় করতে ইচ্ছুক কৃষকবন্ধুগণ নিকটবর্তী কৃষি বিভাগের অফিস অথবা মহকুমা শাসকের অফিস (খাদ্য বিভাগ) এর সাথে যোগাযোগ করে তাঁদের উৎপাদিত ধান বিক্রয় করতে পারবেন। এরই প্রস্তুতি পর্ব খতিয়ে দেখতে সোমবার দুপুরে সচিবালয়ের ভিডিও কনফারেন্স হলঘরে সারা রাজ্যের মহকুমা শাসকগণ এবং খাদ্যদপ্তর ও কৃষি দপ্তরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সাথে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে মিলিত হন ত্রিপুরা সরকারের খাদ্য ও জনসংভরণ দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।
বৈঠকে মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, কৃষকদের লাভবান করার উদ্দেশে প্রতি বছর সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয় করছে আমাদের কৃষকবন্ধুরাজ্য সরকার। দেশে ও রাজ্যে খাদ্যশস্যের মজুত বাড়ানো ও বাজার দর নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রতি মৌসুমেই ধান ক্রয় করা হচ্ছে । সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে এবছরও প্রতিটি জেলা ও মহকুমাকে ক্রয় প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ধান বিক্রির সময় কৃষকরা যেন কোনোভাবেই হয়রানির শিকার না হন, সেদিকে খেয়াল রাখার জন্য ভিডিও কনফারেন্সে উপস্থিত আধিকারিকদের তিনি প্রয়োজনীয় নির্দেশ প্রদান করেন। তিনি আরও বলেন, একজন চাষিও যেন ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের চেয়ে কম দামে ধান বিক্রি করতে বাধ্য না হন , সে দিকে কড়া নজর রাখতে হবে৷
গোটা প্রক্রিয়াটিকে সুচারুভাবে সম্পন্ন করার জন্য ভিডিও কনফারেন্সে উপস্থিত আধিকারিকদের খাদ্যমন্ত্রী প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও নির্দেশ প্রদান করেন। আজকের এই ভিডিও কনফারেন্সে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,খাদ্য ও জনসংভরণ দপ্তরের বিশেষ সচিব রাভাল হেমেন্দ্র কুমার, কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের অধিকর্তা শরদিন্দু দাস, খাদ্য ও জনসংভরণ দপ্তরের অধিকর্তা নির্মল অধিকারী, অতিরিক্ত অধিকর্তা অনিমেষ দেববর্মা সহ অন্যান্য আধিকারিকেরা॥