আগরতলা, ১৫ জুলাই: প্লাস্টিক ব্যবহার খুবই একটা খারাপ অভ্যাস। এই প্লাস্টিক ব্যবহারের ফলে শরীরে বিভিন্ন রোগ দেখা দিতে পারে। নেশার থেকেও অপেক্ষাকৃত ক্ষতিকারক এই প্লাস্টিক। প্লাস্টিক ব্যবহারের ফলে ডায়াবেটিস, ক্যান্সারের মতো রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই এর ক্ষতিকারক দিক সম্পর্কে সকলকে সচেতন হতে হবে। মানুষ যদি সচেতন না হয় তবে প্লাস্টিক মুক্ত ত্রিপুরা গড়া সম্ভব নয়। শনিবার আগরতলা টাউন হলে প্লাস্টিক মুক্ত ত্রিপুরা অভিযানের আনুষ্ঠানিক সূচনা করে এই গুরুত্ব তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা।
এর পাশাপাশি রাজ্যের সকল সরকারি অফিস, আদালত, স্কুল, কলেজ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্যে প্লাস্টিকের ব্যবহার চলছে। বিশেষ করে হাটে বাজারে প্লাস্টিক প্যাকেটের ব্যবহার বিগত কয়েক বছরে উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রশাসনিক স্তরে দফায় দফায় সতর্কতা করা সত্ত্বেও কিছুতেই এনিয়ে রাশ টানা যাচ্ছিল না। এই অবস্থায় প্লাস্টিক মুক্ত ত্রিপুরা গড়ার লক্ষ্যে ত্রিপুরা রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের উদ্যোগে প্লাস্টিক মুক্ত ত্রিপুরা অভিযানের উদ্যোগ নেওয়া হয়। শনিবার আগরতলা টাউন হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্লাস্টিক মুক্ত ত্রিপুরা অভিযানের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা।
অনুষ্ঠানে উদ্বোধকের বক্তব্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্লাস্টিক ব্যবহার সমাজ জীবনকে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করে। প্লাস্টিক উপকার থেকে অপকার বেশি বয়ে আনে। এটির ব্যবহারে মানব শরীরে বিভিন্ন রোগ দেখা দিতে পারে। এর ব্যবহারে ডায়াবেটিস, ক্যান্সারের মতো রোগ হতে পারে। প্লাস্টিকের ক্ষতিকারক দিক নিয়ে সকলকে সচেতন হতে হবে। সচেতনতাই প্লাস্টিক মুক্ত ত্রিপুরা গড়তে একমাত্র উপায় হতে পারে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্লাস্টিক ব্যবহার একটি খুবই খারাপ অভ্যাস। একে একেবারেই পরিত্যাগ করতে হবে। এর পাশাপাশি রাজ্যের সকল অফিস, আদালত, স্কুল, কলেজ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, রাজ্যের মুখ্যসচিব জে কে সিনহা, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের আধিকারিকগণ সহ বিশিষ্ট জনেরা। শনিবার থেকে শুরু হওয়া প্লাস্টিক মুক্ত ত্রিপুরা অভিযান আগামী এক মাস ধরে চলবে। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রছাত্রীরাও অংশ গ্রহণ করে।