২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট রাজ্যের সকল জাতি, জনজাতি, তপশিলি জাতি, অন্যান্য পশ্চাদপদ শ্রেণী, সংখ্যালঘু মহিলা, ছাত্র, যুব সকলের উন্নয়নের লক্ষ্যেই তৈরি করা হয়েছে। বর্তমান সরকারের রাজ্যের সামগ্রিক উন্নয়নে সদিচ্ছার কোন অভাব নেই। ভবিষ্যৎ ত্রিপুরাকে এক মডেল রাজ্য হিসেবে গড়ে তোলাই বর্তমান সরকারের মূল লক্ষ্য। আজ বিধানসভায় প্রস্তাবিত বাজেটের উপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা। আজ বাজেটের উপর সাধারণ আলোচনায় অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহরায় সহ ১৬ জন বিধায়ক আলোচনা করেন।
প্রস্তাবিত বাজেটের উপর আলোচনায় অংশ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, এবারের বাজেটে মূলধনী বিনিয়োগে পরিকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এরফলে রাজ্যে যেমন বিনিয়োগ বাড়বে তেমনি কর্মসংস্থানও হবে। কৃষি ও কৃষি সম্পর্কিত ক্ষেত্রের বিকাশেও বাজেটে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য রাখা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, রাজনীতির বাইরে গিয়ে সর্বস্তরের মানুষের সার্বিক উন্নয়নে এই সরকার সচেষ্ট। বাজেটে মুখ্যমন্ত্রী কন্যা আত্মনির্ভর যোজনায় ছাত্রীদের স্কুটি দেওয়া হবে, মহিলা খেলোয়াড়দের সহায়তায় মুখ্যমন্ত্রী স্টেট ট্যালেন্ট সার্চ প্রোগ্রাম এবং মুখ্যমন্ত্রী স্পোর্টস ডেভেলপমেন্ট স্কিমে বিশ্বমানের ক্রীড়া পরিকাঠামো এবং খেলোয়াড়দের স্কলারশিপের সুবিধা, প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনার বাইরের রাজ্যে ৪ লক্ষ ৭৫ হাজার পরিবার মুখ্যমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা- ২০২৩ নামক নতুন প্রকল্পে সর্বোচ্চ ৫ লক্ষ টাকার বীমার সুবিধা পাবেন বলে মুখ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০০টি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র নির্মাণ, রাজ্যের ৮টি জেলায় নেশামুক্তি কেন্দ্র তৈরি করা হবে। মুখ্যমন্ত্রী নগর উন্নয়ন প্রকল্পে রাজ্যের বিভিন্ন শহরের পরিকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি নগর উন্নয়নের ক্রমবর্ধমান চাহিদাকে মেটাতে মুখ্যমন্ত্রী স্যাটেলাইট টাউন ডেভেলপমেন্ট স্কিম নামে নতুন প্রকল্প নামে চালু করা হচ্ছে। রাজ্যে একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা উৎকর্ষ কেন্দ্র স্থাপন করা হবে।