‘মুখ্যমন্ত্রী কোভিড স্পেশাল ত্রাণ প্যাকেজ প্রকল্প’-এর সূচনা হল নজরুল কলাক্ষেত্রে।
কোভিডের এই সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যের সাত লক্ষ পরিবারকে এক হাজার করে টাকা এবং খাদ্যসামগ্রী প্রদান করবে। দলমত নির্বিশেষে তা পৌঁছে যাবে সাত লক্ষ পরিবারের কাছে।
এই প্যাকেজ ঐতিহাসিক, কারণ এর আগে ত্রিপুরায় এত বড় প্রকল্প গ্রহণ করা হয়নি। রাজ্যের মানুষের প্রতি সরকারের বিশ্বাস রয়েছে। ইতিবাচক মানসিকতা নিয়েই সরকার তার কাজ করে চলেছে বলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।
এদিকে রাজ্য সরকার বেসরকারী হাসপাতালে করোনা চিকিৎসার ক্ষেত্রে পরিষেবার খরচের সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে। রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব জানিয়েছেন চিকিৎসা পরিষেবার খরচের সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করে দেওয়ায় লাভবান হবেন সাধারণ মানুষ।
তিনি জানিয়েছেন, অক্সিজেন সাপোর্টযুক্ত আইসোলেশনের বেডের ক্ষেত্রে দৈনিক ৪ হাজার টাকা, সাধারণ আইসিইউ বেডের জন্য দৈনিক ৭,৫০০ টাকা এবং ভেন্টিলেটর সাপোর্টযুক্ত আইসিইউ বেডের ক্ষেত্রে ৯ হাজার টাকার বেশী নিতে পারবে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এদিকে ত্রিপুরাতে সরকারি হাসপাতালে করোনার বিনামূল্যে চিকিৎসা হচ্ছে। এদিকে রাজ্যে শুরু হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর কোভিড স্পেশাল ত্রান প্যাকেজ প্রকল্প। মুখ্যমন্ত্রী নিজেই এর সূচনা করেন। ত্রিপুরার সবচেয়ে বড় প্যাকেজ বলে দাবী করেছেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।